আনিস তপন: মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তবে বিশ্ববাজারে সারের দাম কমলে দেশের বাজারেও দাম কমানো হবে বলে আশ^াস দেন তিনি। এর আগে সোমবার রাসায়নিক সারের দাম প্রতি কেজিতে পাঁচ টাকা বাড়ানো হয়। মন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার সারের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে। দাম বাড়ানোর কারণে কৃষকের ওপর চাপ পড়লেও উৎপাদন কমবে না। সারের এই মূল্য বৃদ্ধির ফলে কৃষকের যে ক্ষতি হবে তা বীজ বা অন্যভাবে পুষিয়ে দিতে সচেষ্ট থাকবে সরকার।

গত ৩ এপ্রিলে কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এ বছর সারের দাম বাড়ানো হবে না। কিন্তু মঙ্গলবার তিনি অনেকটা অসহায়ের মতো জানালেন, প্রধানমন্ত্রীও বলেছিলেন সারের দাম না বাড়াতে, কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে শেষ পর্যন্ত বাড়াতেই হলো।

এখন বৈশ্বিক সারের দাম যে হারে বেড়েছে সে তুলনায় বাংলাদেশে বাড়েনি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এখনো সরকারকে এই খাতে বিপুল পরিমাণ টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। বোরো ধানের আগ পর্যন্ত চাহিদা বেশি থাকে। এরপর সারের চাহিদা কমে আসবে। তাই এ দামে খুব সমস্যা হবে না। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব